ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের ওপর হামলা ৭০% বৃদ্ধি

মুসলমানদের ওপর হামলা ও বৈষম্যের অভিযোগ সংগ্রহ করতে সরকারি বিবৃতি ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ভিডিওর সহায়তা নিয়েছে সিএআইআর।
  • | ৩১ জুলাই, ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের ওপর হামলা ৭০% বৃদ্ধি দেশটিতে ফিলিস্তিনবিরোধী বিক্ষোভও হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজা ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে মুসলিমবিদ্বেষ। একই সঙ্গে বেড়েছে দেশটিতে মুসলমানদের ওপর হামলা ও বৈষম্যের ঘটনা। চলতি বছরের (২০২৪) প্রথমার্ধে এ ধরনের ঘটনা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। মার্কিন মুসলমানদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকা সংগঠন ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস’ (সিএআইআর) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

মুসলমানদের ওপর হামলা ও বৈষম্যের অভিযোগ সংগ্রহ করতে সরকারি বিবৃতি ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ভিডিওর সহায়তা নিয়েছে সিএআইআর। এছাড়া মানুষের সঙ্গে কথা বলে, ই–মেইলে, এমনকি ইন্টারনেটে অভিযোগ করার মাধ্যমেও তা সংগ্রহ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে যেসব ভুক্তভোগীর তথ্য পাওয়া গেছে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিএআইআর।

ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়েই বেড়েছে ইসলামবিদ্বেষ ও ফিলিস্তিনবিদ্বেষ। একই সঙ্গে ইহুদিবিদ্বেষও বেড়েছে। প্রতিবেদনে সিএআইআর জানায়, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে তাদের কাছে মুসলিম ও ফিলিস্তিনবিরোধী অভিযোগ এসেছে ৪ হাজার ৯৫১টি, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। সে বছরে মোট অভিযোগ এসেছে ৮ হাজার ৬১টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬০০টিই গাজা যুদ্ধ শুরুর পর বছরের শেষ তিন মাসে এসেছে।

৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের ওপর হামলার বেশকিছু উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। যেমন— গত বছরের অক্টোবরে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত ছয় বছরের এক মার্কিন শিশুকে ছুরিকাঘাত, নভেম্বরে ভারমন্টে ফিলিস্তিনি তিন ছাত্রকে গুলি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টেক্সাসে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত এবং মে মাসে ভারমন্টে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত তিন বছরের এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যাচেষ্টা।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়। অবশ্য দেশটিতে ফিলিস্তিনবিরোধী বিক্ষোভও হয়েছে।